অর্থনীতিবিদদের মত, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে পদ্মা সেতু
দুর্নীতির অপবাদ আর দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর যে স্বপ্নের বীজ বোনা হয়েছিল পদ্মার, আর মাত্র দিন খানেকের মধ্যেই শেষ হচ্ছে সেই প্রতিক্ষারও। নানা শঙ্কা আর হাজারো বাঁধা পেরিয়ে দৃষ্টিসীমানায় পূর্ণরূপে জেগে উঠেছে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সেতু কেবলমাত্র ভৌগলিক দূরত্বই কমাবে না বরং আগামীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম নিয়ামক হিসেবেও কাজ করবে।
এই সেতুর মাধ্যমেই একদিকে যেমন বাড়বে দেড় থেকে দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি; তেমনি দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাড়বে বৈদেশিক বাণিজ্যও। বলা হচ্ছে এই সেতুটি দেশের উত্তর-দক্ষিণকে এক সূতোয় বাঁধার মাধ্যমে কেবল যোগাযোগ উন্নয়নই ঘটাবে না। বরং গুরুত্বতার বিচারে তার থেকে বড় ভূমিকা রাখবে অর্থনৈতিক উন্নয়নেও। এমনটাই মত অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, এই সেতুর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে, মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বাড়বে দেড় থেকে দুই শতাংশ। পাশাপাশি দশমিক ৮৪ শতাংশ কমবে দারিদ্রতার হার।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, পদ্মা সেতু হবার ফলে এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হবার যে সুযোগ তৈরি হবে, তারমাধ্যমে কেবল দেশীয় অর্থনীতি নয়; সম্প্রসারণ ঘটবে বৈদেশিক বাণিজ্যেও।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসাবাণিজ্যের সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি আর সামগ্রীক অর্থনৈতিক উন্নয়ন; মোটাদাগে এই তিন বিষয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে পদ্মা সেতু।
প্রসঙ্গত, আসছে ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর। সেদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন করবেন এই সেতুর। পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
মির্জা রুমন