কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়া আসামিকে গ্রেপ্তার
কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা কখনওবা পরিচয় দিতেন আইনজীবী হিসেবে। নিজেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফোন করতেন কারাগারে বন্দি থাকা আসামিদের নিকট আত্বীয়-স্বজনদের কাছে। বিভিন্ন উপায়ে আসামি মুক্ত করার কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এমন চক্রের মূল হোতাকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড়ের আহাদ মোড় এলাকার আজহার সরকারের ছেলে মোঃ মামুন হোসেন (৩০), একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো: ইমরান হোসেন (২৮)।
এহতেশামুল হক খান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার আদালত প্রাঙ্গনে উদ্ধেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে আসামিদের আত্মীয় স্বজনেরা অপক্ষো করেন। কেউ জামিনের জন্য আবার কেউ অপেক্ষা করেন কারাগার থেকে হাজিরা দিতে আসা স্বজনদের একনজর দেখার জন্য। এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করে এক ধরনের প্রতারক চক্র। কখনো জেল সুপার কখনো জেলা পুলিশ, কখনো বা উকিল পরিচয়ে আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে সহযোগীতার আশ্বাস দেন এবং জামিন ও মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ পাবনা জেলাতে বিভিন্ন কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতরণা করে আসছে। এ রকম একটি ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হয়ে একজন র্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলে মাঠে নামে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিমান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মোঃ মামুন ও তার সহযোগী ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত বিষয়ের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।