ঢালিউড

‘মাহি আস্থার আস্তানা’য়’ স্বামী রাকিব করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাত অভেনেত্রী মাহিয়া মাহি। সম্প্রতি এই নায়িকা নিজেই দিয়েছেন বিচ্ছেদের ঘোষণা। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিকমাধ্যমে এ খবর জানান তিনি। বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার কিছুদিনের যেতে না যেতেই আস্থার জায়গা খুঁজেছেন এই নায়িকা। এবার যেন আস্থার জায়গা খুঁজে পেলেন মাহি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন মাহি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, ‘আস্থার আস্তানা’। এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার স্বামী রকিব সরকার।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুকে সন্তান ফারিশের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন রকিব। সেখানে লিখেছেন, ‘আস্থা…! শব্দটির সাথে যখন ডিক্লেয়ারেশন ইস্যু যুক্ত হয় তখন তার সাথে সাথে বিশ্বাস,নির্ভরতা ছাড়াও গভীরে অনেকগুলো সমার্থকের উপস্থিতি উপলব্ধি হওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক।

তিনি আরও লেখেন, ভয়ংকর রাতে আস্থার আস্তানায় সাজানো শীসা। তার সদস্যদের সবাই দেখল। ওই আস্তানার প্রধান ফটোগ্রাফীর অজুহাতে আড়ালেই রয়ে গেল। সপ্তাহ-দশদিনে তো আর এমন আস্থা অর্জন করা সম্ভব না।

সবশেষে সন্তান ফারিশের উদ্দেশে রকিব লিখেছেন, সবাই একই রকম ভাগ্য নিয়ে দুনিয়ায় আসে না বাবা। ইনশাআল্লাহ তোমার জন্য বাবাই যথেষ্ট ফারিশ।

এদিকে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে মাহি তার প্রকাশ করা ভিডিওতে বলেছিলেন, আমি আর রকিব আমরা আসলে খুব ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্তে এসেছিলাম এবং আমরা খুব ভালোই ছিলাম। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে যে, আমরা আসলে দুজন দুজনের জন্য ‘না’। সে খুব ভালো একজন মানুষ। খুবই পরোপকারী একজন মানুষ। খুবই কেয়ারিং একজন মানুষ। এই পর্যন্ত যতগুলো দিন আমি কাটিয়েছি। সে আমার অনেক যত্ন নিয়েছে, আমারও অনেক টেক কেয়ার করেছে, আমার পুরো পরিবারের মানুষকে সম্মান করেছে। যে কোনো প্রয়োজনে সে পাশে দাঁড়িয়েছে। সবসময় সে আমাকে ছাতার মতো করে আগলে রেখেছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান মাহি।

এএম/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন