আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ধন্যবাদ আপাকে, আক্ষেপ নেই ভাইয়ের ওপরও : জায়েদ খান

জায়েদ খান ‘ভালো ছেলে’। প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী নিজেই তার বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জায়েদ খান তাকে কখনো বিরক্ত কিংবা অসম্মান করেননি। তার এমন স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান।

এমন স্বীকারোক্তির পর ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমা খ্যাত এ নায়ক গণমাধ্যমকে জানান, ‘আপা (মৌসুমী) সব পরিষ্কার করে দিয়েছেন। আপাকে ধন্যবাদ।’

ওমর সানী প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, ‘ওমর সানী ভাইয়ের ওপর আমার কোনো ক্ষোভ বা আক্ষেপ নেই। উনি সিনিয়র মানুষ। আমি যে সঠিক ছিলাম, আজকে আপার বক্তব্যই তা প্রমাণ করে।’

জায়েদ খান আগেই জানিয়েছিলেন, ‘পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে আপনারা চাইলে মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। নিশ্চয়ই তিনি মিথ্যা বলবেন না। আমি কোনোদিন তাকে হেয় প্রতিপন্ন করিনি। এ সব ভুয়া কথা। সানী ভাই একটার পর একটা মিথ্যা গল্প বলছেন। কেন বলছেন তাও বুঝতে পারছি না।’

তিনি আরও জানান, ‘এই তো ১৫–২০ দিন আগেও একসঙ্গে ডিপজল ভাইসহ অন্যরা মিলে মিটিং করেছি। সেখানে তো মৌসুমী আপাও এসেছিলেন। আমাদের অনেক কথাও হয়েছে। যদি সম্পর্ক খারাপই থাকতো তাহলে মিটিংয়ে নিশ্চয়ই একসঙ্গে থাকার কথা নয়। তাছাড়া শুটিং নিয়ে প্রায় সময়ই আমাদের কথা হয়েছে। শুধু শুটিং না, বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা হয়। তাই বলে এই নয় যে, সানী ভাই যা ইচ্ছা তাই বলবেন। এতে তো মৌসুমী আপারও বদনাম হচ্ছে। আমি বিষয়টা বুঝতেই পারছি না সানী ভাই কেন হঠাৎ এমন নাটক শুরু করলেন। এতে আমিসহ সব শিল্পীর দুর্নাম হচ্ছে।’

ওমর সানীর অভিযোগ, জায়েদ খান গত চার মাস ধরে তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আরিফা পরভীন মৌসুমীকে নানা হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। তার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।

মৌসুমী বিষয়টিকে মিথ্যা দাবি করে অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি ও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা খুবই ভালো একটা সম্পর্ক। সেখানে আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ও অনেক ভালো ছেলে। সে কখনোই আমাকে অসম্মান করেনি।’

স্ত্রীর এমন মন্তব্যে ওমর সানী ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অভিযোগে অটল থাকার কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘মৌসুমী আমার স্ত্রী, আমার সন্তানের মা। তাকে অসম্মান করে আমি একটি কথাও বলব না। সে কি মনে করে জায়েদ খানের পক্ষে কথা বলছে সেটা আমি জানি না। জায়েদ খান সম্পর্কে বাংলা চলচ্চিত্র জানে, বর্তমান ক্যাবিনেট জানে, প্রযোজক সমিতির ক্যাবিনেট জানে, পরিচালক সমিতির ক্যাবিনেট জানে এবং দর্শক জানে। গতকাল (১২ জুন) আমি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেছি। আমি এখনও আমার অভিযোগে অটল।’

এ সময় তিনি আরও জানান, ‘আমার গার্ডিয়ান হিসেবে আমার ছেলে ফারদিন এবং মেয়ে ফাইজা অবশ্যই আপনাদের সবকিছু ক্লিয়ার করবে। আমি চাই না, এই ২৭ বছরে এসে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি (পরিবারের মধ্যে) হোক। আমি আমার ছেলেমেয়ে, স্ত্রীকে নিয়েই থাকতে চাই।’

এদিকে বাবার সুরে তাল মিলিয়ে সানী-মৌসুমী দম্পতির ছেলে ফারদিন এহসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘শুধু আম্মুকে (মৌসুমী) নয়, উনি (জায়েদ খান) কমবেশি সবাইকে ডিস্টার্ব করেন। আমার আব্বুর সঙ্গেও বেয়াদবি করেছেন। আম্মু ভেবেছিলেন, বিষয়টি খুবই সামান্য, এটা পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (জায়েদ খান) আমার ব্যবসারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। আমি বিষয়গুলো জানি, কিন্তু পাবলিকলি সব বলব না। উনাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ব এমন না। উনাকে এত গুরুত্বও দিচ্ছি না। জায়েদ খান আর রাস্তার ব্যাঙ এক কথা! তাই উনাকে নিয়ে ভাবছি না।’

বাবা-মায়ের সম্পর্ক নিয়ে এ তারকাপুত্র জানিয়েছেন, ‘আব্বু-আম্মুর মধ্যে সবকিছু ঠিক আছে। আমি আব্বুকেও পাচ্ছি, আম্মুকেও পাচ্ছি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক বিষয় নিয়েই মনোমালিন্য হয়। আমি বিয়ে করেছি, আমাদেরও হয়। এটা তো স্বাভাবিক। আব্বু-আম্মু দুজনই চাচ্ছেন বিষয়টা যেন দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।’

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন