আন্তর্জাতিক

রাখাইনে আরাকান আর্মির হামলায় ৮০ সেনা নিহত

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে সামরিক বাহিনীর ৮০ জান্তা সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। তারা জানিয়েছে, রাখাইনের উপকূলীয় রামরি শহরে তিন দিনের সংঘর্ষে ওই জান্তা সেনাদের হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য গেলো শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রামরিতে নতুন করে সেনা পাঠায় জান্তা সরকার। সেদিন ৪টি সামরিক হেলিকপ্টারে করে মোট ১২০ সেনা সদস্য রামরিতে যান। আর আরাকান আর্মির দাবি করেছে, ২ দিনে এসব সৈন্যের ৩ ভাগের ২ ভাগই নিহত হয়েছেন।

আরাকান আর্মি বলছে, শনিবার রামরিতে আসা সেনাদের প্রায় ৬০ জন তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন। এসব সেনার মরদেহ উদ্ধার করার সময় তারা বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদও জব্দ করেছে। বিদ্রোহী আরাকান আর্মি বলছে, শনিবারের পর গত সোমবার রামরি দ্বীপ থেকে পিছু হটার সময় তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর আরও ২০ সেনা নিহত হন। তাদের কাছ থেকেও গোলাবারুদ ও খাদ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।

আরাকান আর্মির দাবি, জান্তা সরকারের হারবিন ওয়াই–১২ পরিবহন উড়োজাহাজ থেকে ফেলা বিপুল গোলাবারুদ ও খাদ্য সামগ্রী জব্দ করেছে তারা।

গেলো বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

এদিকে দেশটির উত্তর শান রাজ্যের ৭টি শহরে আগামী বছরের মধ্যে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে আরেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ)। পিএসএলএফ হলো টাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। গোষ্ঠীটি ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ড সীমান্তে গঠিত হয়।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরোধী জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপগুলো হামলা চালিয়ে আসছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। এরই মধ্যে সরকারের হাতছাড়া হয়েছে বিশাল এলাকা। এর আগে কখনও মিয়ানমার সেনাবাহিনী সরকার এতটা বিপর্যয়ে পড়েনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন