আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

খালেদা জিয়া ‘ঝুঁকিমুক্ত’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক করার পর রিং বসানোর ৭২ ঘণ্টা পেরিয়েছে। এ সময়ে মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি। তিনি এখন অনেকটা ‘ঝুঁকিমুক্ত’ বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।

১৩ জুন রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাপ্তাহিক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই বৈঠকে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভালো নেই। আমাদের নেত্রীকে দুই নয়ন দেখতে পারছি না অথবা তার আশপাশের বারান্দায় দাড়িয়েও একটু কষ্ট লাঘব করার সুযোগ পাই না। পত্রপত্রিকায় তার চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকের মাধ্যমে যেটুকু আসে, এরচেয়ে বেশি জানার সুযোগ আমার নেই।’
 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘ম্যাডামের তো হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, রিং বসানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়েছে। কিন্তু উনার যে শারীরিক অবস্থা, রিং বসানোর মতো অবস্থায় তিনি আছেন কিনা সেটা নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত।’

এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘সরকার তো ম্যাডামকে বিদেশে চিকিৎসার করার সুযোগ দিচ্ছে না। আমরা তো বারবার বিদেশে তার চিকিৎসার কথা বলে আসছি। এখন নতুন করে কি করা যায়, সেইগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। দেখা যাক কি হয়।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

বিএনপির সূত্রগুলো বলেছেন, গতকালের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যের আলোচনা উঠে আসছে যে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে নতুন করে আবেদন করে কোনো লাভ নেই। কারণ সরকার চায় না তার বিদেশে চিকিৎসা হোক। আর আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে। ফলে, সেখানে গিয়েও কোনো লাভ নেই। তাই বিএনপিকে এই অবস্থা মেনে নিতেই হবে। যতদিন না আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে দাবি আদায়ে বাধ্য না করা যায়।  

গত ১১ জুন গভীর রাতে হৃদরোগের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। পরে সকালে তার এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক ধরা পড়লে রিং বসানো হয়। বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। এর আগেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় অনেক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন