স্বামীকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণ
পাবনার আমিনপুরে মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা যায়। ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাহফিল শুনে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত রাজীব সরদার আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে পথরোধ করে নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করে এবং পরিচয় দিলেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে।
এরপরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে আটকে রেখে। স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে ভূট্টা ক্ষেতে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রাজিব। এরপরে অভিযুক্ত সেলিম,শরিফ, রাজীব, রুহুল মন্ডল, লালন সরদার ও সিরাজুলসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩জন পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষন করে। এসময় ভুক্তভোগী স্বামী অভিযুক্তদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে এলাকার লোকজনকে বলেন। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা গিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের এক জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকেই পালিয়ে যায় সেই অভিযুক্ত
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পর স্থানীয় পল্লীচিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
প্রসঙ্গত, ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় জনগণ ও ইউপি চেয়ারম্যান।