কান্না থামাতে রেস্টুরেন্টে খেতে এসে ২ ছেলেসহ লাশ হলেন মা
সন্তানদের বায়না মেটাতে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে তাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন নাজিয়া। স্বামী ব্যবসায়ী আশিক তখন বনানীতে নিজ অফিসে ছিলেন। তার অনুমতি নিয়েই বাচ্চাদের রিয়ে বের হন নাজিয়া।
বেইলি রোডের আগুন লাগা ভবনের তৃতীয় তলায় ‘খানাস’ রেস্টুরেন্টে দুই ছেলে আয়াত (৮) এবং আয়ানকে (৬) নিয়ে খাবার খেতে যান নাজিয়া। সেখানেই দুই সন্তানসহ আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি।
এ ঘটনা জানালেন আশিকের ফুফাতো ভাই রিফাত।
রিফাত বলেন, ভাইয়ার (আশিক) অনুমতি নিয়ে ভাবি দুই ছেলেকে নিয়ে ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা ‘খানাস’ রেস্টুরেন্টে যান। সাড়ে ১০টার দিকে ভাবি ভাইয়াকে ফোনে জানান- রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে, ছোট ছেলে আয়ানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আর ফোনে কথা বলতে পারেননি।
রিফাত বলেন, আমরা আয়ানকে সিঁড়িতে পেয়েছি। তার মরদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছোট বাচ্চা ধোঁয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে হয়তো মারা গেছে। ভাবি আর আয়াতের মরদেহ মর্গে আছে। আমি ও অন্য আত্মীয়রা মরদেহ নিতে এসেছি।
রিফাত বলেন, ভাবিকে অনেক ভালোবাসতেন ভাইয়া। ১২ বছর সম্পর্কের পর দুইজন বিয়ে করেন। দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল। সব শেষ হয়ে গেলো।
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী-শিশুসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। আগুনে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।