আন্তর্জাতিক

কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ আর নানা নাটকীয়তায় সবসময় পরিপূর্ণ পাকিস্তানের রাজনীতি। দেশটিতে কিছু দিন আগে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। গেলো সপ্তাহে জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়েছে । অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মাঝে শপথ নিয়েছেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। এবার হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পালা।

আজ রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে দেশটির জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হবে। এতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে লড়বেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ওমর আইয়ুব খান।

ওমর আইয়ুবকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের জন্য আজ রোববার দুপুরে নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। এতে পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ পিটিআই-মনোনীত ওমর আইয়ুব খানের মুখোমুখি হবেন।

পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৩৩৬ পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেওয়া হবে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

পিএমএল-এনের শেহবাজ একইসঙ্গে আট-দলীয় জোটের যৌথ প্রার্থী এবং তিনিই দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

উভয় প্রার্থীই জাতীয় পরিষদ সচিবালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পরে যাচাই-বাছাই শেষে স্পিকার আয়াজ সাদিক উভয় পক্ষের নেতাদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয় ৮ ফেব্রুয়ারি । সাধারণ পরিষদের ২৬৪টি আসনের মধ্যে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯০ আসনে জয় পান। তবে ৭৯ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিএমএল-এন আর ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা পিপিপি ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে কেন্দ্রে ও প্রদেশগুলোয় সরকার গঠন করছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন