জাতীয়

দেশমাতৃকা রক্ষায় কাজ করে বিজিবি : প্রধানমন্ত্রী

সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বাহিনীটিকে স্মার্ট ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পিলখানায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশমাতৃকা রক্ষায় সদাজাগ্রত বিজিবি। তারা দেশের অর্থনীতির জন্যও কাজ করে। বিজিবি রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়ায় যাইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারবো।

তিনি  বলেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড একটি বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে চেইন অব কমান্ড এবং কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলতে হবে।

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জন জীবন হারায়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজনহারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমরা এই ঘটনার বিচার করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিডিয়ার বিদ্রোহে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে এ ধরনের ঘটনা যেনো আর না ঘটে।

সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিট সুন্দরভাবে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্তে অপরাধ দমনে কাজ করতে পারছে। আমরা চাই, বিজিবি হবে অন্যতম স্মার্ট বাহিনী। এই প্রথম আমরা নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। ২০১৫ থেকে এই বাহিনীতে নারী সংযুক্ত হচ্ছে। তারা বেশ স্মার্ট, আজকে আপনারা দেখলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিজিবির কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ জন বিজিবি সদস্যকে পদক তুলে দেন।

এএম/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন