আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ব্রহ্মপূত্র-ধরলার পানি বাড়ছেই

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়েছে। ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি যেন শুধু বেড়েই চলেছে। অস্বাভাবিকভাবে  পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় ১২৫টি গ্রামের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। 

শনিবার (১৮ জুন)  সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

জানা গেছে, রৌমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে। শুরু হয়েছে বানভাসি মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ। বন্যায় জেলায় প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। 
এদিকে তীব্র পানির স্রোতে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়ারহাট এলাকায় অস্থায়ী বেরিবাঁধের ২০/২২ ফুট ভেঙ্গে মেইনল্যান্ডের ফসলাদি তলিয়ে গেছে। 
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, আমরা দুর্গত এলাকা পরির্দশন করছি। এরই মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম এবং শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।  

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়া হবে। যাতে বন্যা পুণর্বাসন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তাদেরকে সহযোগিতা করা যায়।

টিআর

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন