জাতীয়

দ্রুত বিচারের মেয়াদ স্থায়ী করে সংসদে বিল পাশ

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে স্থায়ী করে  বিল পাশ হলো জাতীয় সংসদে। বহুল আলোচিত এ আইনটি ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকার ২ বছরের জন্য আইনটি পাশ করেছিল।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন)’ বিল পাস হয়।

আইনটি নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল, তখন তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যে কোনো কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা বর্তমান সরকার কেন রেখেছেন?

বিরোধীদলের সমালোচনার জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিকভাবে বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, আইনটি একই রকম আছে সরকার কোনো রকম সংশোধন করে নাই। কাউকে ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল?

জবাবে  আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে আইনটি পাশের পর ৭ দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। যা আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন