আন্তর্জাতিক

প্রথম আরব নারী হিসেবে নাসার গ্রাজুয়েট হলেন নোরা

প্রথম আরব নারী হিসেবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন নোরা আলমাতরুশি। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকের।  ২০২১ সালে নাসার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া অপর আরব নাগরিক হলেন মোঃ আল মোল্লা।

গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নোরাসহ নতুন ১০ স্নাতককে নাসার উইং ব্যাজ পরানো হয় হয়। নিজেদের ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসা।

নাসা জানায়, টানা দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর নোরা এখন পুরোপুরি উপযুক্ত এক মহাকাশচারী। এসবের মধ্যে রয়েছে মহাকাশযাত্রার বিশেষ পোশাক পরে রকেট শিপের তাঁবুতে অবস্থান, মহাকাশে হাঁটার প্রশিক্ষণসহ অনেক কিছু।

নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, নোরা আলমাতরুশি শারজাহ তে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। জ্বালানি তেল শিল্পে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে নাসার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আরব আমিরাত থেকে প্রার্থী হওয়া দুই মহাকাশচারীর একজন হলেন নোরা। দেশটির মহাকাশ সংস্থা ইউএইএসএ তাদের বাছাই করে।

নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে নোরা জানান, শ্রেণিকক্ষে তাদের শিক্ষক চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের প্রতীকী চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। তাঁরা তাঁবু থেকে বেরিয়ে দেখলেন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের বাতিগুলো নিভিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকের শরীর ছিল ধূসর পোশাকে ঢাকা। তিনি শিক্ষার্থীদের বলছিলেন, কল্পনা কর আমরা যেন চাঁদের মাটিতে রয়েছি। ওই দিনটিকে নোরাকে  দারুণ রোমাঞ্চিত করে। তাঁর মনে স্থায়ী দাগ কাটে।

নোরা আলমাতরুশি  নাসার প্রথম আরব নারী স্নাতক ডিগ্রিধারী হলেও। একাধিক আরব নারী ইতোমধ্যে ব্যক্তি খাতে পরিচালিত মহাকাশযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের বায়োমেডিকেল গবেষক রিয়ানাহ বার্নাবি। এক্সিওম স্পেস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত বছর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান তিনি। আগের বছর ২০২২ সালে ব্লু অরিজিনের মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন মিসরীয় বংশোদ্ভূত লেবাননি প্রকৌশলী সারা সাবরি।

প্রসঙ্গত, এ স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের মধ্যে দিয়ে  নোরাসহ এ ১০ গ্রাজুয়েট ভবিষ্যতে নাসার মহাকাশ বিষয়ক অভিযানে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন।

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন