অ্যাডভোকেট যুথীর বাসায় অভিযান, গ্রেপ্তার ৪
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার রাতে এ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানের সময় নাহিদ সুলতানা যুথীকে বাসায় পাওয়া যায়নি। অ্যাডভোকেট যুথী আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
শুক্রবার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এতে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ আইনজীবীকে বিবাদী করা হয়।
মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ আইনজীবী এবং সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সুকৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনিভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যকে গালাগাল করেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পর দিন বৃহস্পতিবার বিকালে ৫টায় শেষ হয়।