উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভূমি মালিকদের চেক হস্তান্তর
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের চেক হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গেলো সোমবার (২০ জুন) কুমিল্লা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে ১২ জন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৮.৮৯০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০১৮ সালের ২৩ শে অক্টোবর ১৬৫৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অনুমোদন দেয় সরকার। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে প্রায় ৪ বছর পর ভূমির মালিকানা বুঝে পায় প্রশাসন। যারই অংশ হিসেবে গতকাল ১২ জন ভূমি মালিককে ২ একর ৪৫ শতক ভূমির মূল্য স্বরুপ ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানসহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রহমান তিন্নি, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল ও ভুমি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকদের প্রাপ্ত অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ভাবে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা বেসরকারি পর্যায়ে কেনা বেচার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মূল্যে মালিকদের প্রাপ্য পরিশোধ করা হয়েছে।
চেক হস্তান্তর ও প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চেক হস্তান্তর সাথে সাথেই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে পাইলিং, ম্যাপিংসহ প্রাথমিক কাজ গুলো শেষ করে ফেলেছে। আর জেলা প্রশাসকের চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে কাজটি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে বলা যায়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রকল্পটি শুরু করতে ৪ বছর পার হয়ে গেলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে। আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ হয়। গত সপ্তাহেও আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করেছি।
এর আগে, গত ২৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে ৪ শত ৭১ কোটি ১১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৬ টাকার চেক হস্তান্তর করেন প্রকল্পের পরিচালক মো. সানোয়ার আলী। এ টাকায় ১৯৮.৮৯০০ একর জমি ক্রয় করা হবে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ব্যাটালিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন।