আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কর্তৃপক্ষ বুঝে নিলো পদ্মা সেতু

দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে বাকি মাত্র আর দুইদিন। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মা বিধৌত জনপদ। এখন শুধু অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। ইতোমধ্যে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের। এরই মধ্যে সেতু বিভাগকে তা বুঝিয়ে দিয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের পদ্মাপাড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে মানুষের মাঝে। তবে দেশের সামর্থ্য ও সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত এ সেতু আসছে  শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের দিন সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এসে উপস্থিত হবেন। এরপর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন ও সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন তিনি। পরবর্তীতে সেখান থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুর অংশে দলীয় একটি জনসভায় অংশ নেবেন।

এদিকে সমাবেশের দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, ঠিকাদার তার কাজ শেষ করে সেতু বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে যেকোনো অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো কাজ থাকবে। আগামী একবছর ধরে তারা সে কাজ ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ করবে।

উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেতুতে ১৩ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে নসিমন, করিমন, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। এমনকি হেঁটেও মানুষ যাতায়াত করতে পারবে না।

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন