আইন-বিচার

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায়ের দিন পেছালো

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বাড়ি সরকারের না কার এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দিন ঠিক করেছেন আদালত।

সোমবার (১৮ মার্চ) রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে উভয়পক্ষের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে এ দিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ রায় ঘোষণার আজ দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত ৩ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বাড়ি নিয়ে করা রিটের জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে ১০ মার্চ রায় ঘোষণা না করে পিছিয়ে ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারীর পক্ষে সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিষয়টি দু’দিনের জন্য মুলতবি করেন। কিন্তু দুদকের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। আবার সেটি পিছিয়ে ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন। আজ সেটি পিছিয়ে রায়ের জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন আদালত।

আব্দুস সালাম মুর্শেদী সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার। রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (বর্তমানে সংসদ সদস্য)।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন