অর্থনীতি

লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে পেঁয়াজের দাম

বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। আমদানির খবরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অবৈধভাবে মজুত করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিন দিন আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা  গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদপুরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১/২ সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির লোভে কৃষকেরা নতুন হালি পেঁয়াজ পরিপক্ক হওয়ার আগেই প্রচুর পেঁয়াজ উঠিয়ে ফেলেছে। আর সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে থাকায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। ফলে বাজারে পাইকেরিতে ৪৮ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করছে বিক্রেতারা।

দিনাজপুরের হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান,  পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আগের তুলনায় বিক্রি কমে গেছে।

রাজধানীর নতুনবাজারের ব্যবসায়ী বিশারত আলি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। পাবনা ও ফরিদপুর থেকে পণ্যটি প্রচুর আসছে। তাই দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহে সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটা তাঁরা বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মাত্র ২/৩ টাকা লাভে তা বিক্রি করছেন তাঁরা।

মগবাজারে পেঁয়াজ কিনিতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে ১ কেজি পেঁয়াজ তিনি কিনেছেন ৯০ টাকায়। ১৯ মার্চ তিনি সেটি কিনেছেন ৫৫ টাকায়। দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়? কি এমন হলো যে দর হঠাৎ এত কমে এলো এমন প্রশ্ন এ ক্রেতার।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ মার্চ) ভারতের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) রপ্তানির জন্য দেশটির চাষীদের থেকে পেঁয়াজ কেনার তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে ২৯ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই রান্নাঘরের মুখ্য এ পণ্যটির দরপতন ঘটছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন