নির্জন কারাগারে স্থানান্তর অং সান সু চি
নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে। গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দেশটির জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, আইন অনুযায়ী তাকে (সু চি) কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাকে আলাদা কারাগারে রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সু চিকে রাজধানী নেপিদোতে একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চির বয়স ৭৭ বছর হয়েছে গেলো রোববার (১৯ জুন)। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে, যেগুলোতে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে একাধিক দুর্নীতি এবং নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয় আইন লঙ্ঘনের মামলা। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
গেলো বুধবার (২২ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সু চির মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, মায়ানমারের সামরিক শাসক সু চির বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি কার্যক্রম আদালত থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, নেপিদোর কারাগারের নতুন বিশেষ আদালতে মামলাগুলোর শুনানি চলবে। সু চির বিরুদ্ধে মামলায় আদালতের কার্যক্রম অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে করা হচ্ছে। শুধু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সীমিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করা হচ্ছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে থাকা দেশটির সংকট সম্পর্কে সু চি কতটা জানেন, তা স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতাকে দৃঢ় করতে সংগ্রাম করছে এবং মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।
সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করাকে জালিয়াতি বলে অভিহিত করে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া মানার দাবি করেছে সামরিক বাহিনী।
এসি