আন্তর্জাতিক

‘ইমরান খানকে অপসারণে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়, অভিযোগ ভিত্তিহীন’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ইমরান খানের অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে দুই বছর আগে অভিযোগ ওঠার পর এই প্রথমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র  কোনো কর্মকর্তা প্রথমবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন।

পাকিস্তানের গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে স্থানীয় সময় বুধবার(২০ মার্চ) মার্কিন কংগ্রেস কমিটি'র পরিচালিত একটি শুনানির সময় ডোনাল্ড লু  যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে  ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' বলে জানান।

ভয়েজ অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুনানিতে ডোনাল্ড লু 'কেবলগেট' বা সাইফার কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত এই ঘটনাকে 'পুরোপুরি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' বলে অভিহিত করেছেন।

এসময় পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'প্রথমে আমি এই বিষয়ে খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মিথ্যা। পাকিস্তানে যেটিকে সাইফার বলা হয়, আমি সে সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছি। এখানকার (ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের) দূতাবাস থেকে কথিত কূটনৈতিক তারবার্তাটি ফাঁস হয়েছে।'

ডোনাল্ড লু আরও বলেন, 'দ্বিতীয়ত, এটি যথাযথ নয়। ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অথবা আমার জড়িত থাকার কোরন প্রমাণ নেই।'  ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত নিজেও স্বীকার করেছেন বলেও তিনি শুনানিতে উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড লু ২০২২ সালের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজীদকে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। ওই বিষয়টি একটি তারবার্তায় (সাইফার) আসাদ মজীদ বিষয়টি  ইমরান খানের সরকারকে অবহিত করেন।

পরবর্তীতে  তারবার্তা সূত্র ধরে ইমরান খান দাবি করেন, ২০২২ সালে তার সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান ও মার্কিন সাংবাদিকেরা বিস্তারিত জানতে চান।  তবে প্রতিবারই বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন