ইউরোপ

রাশিয়ার টাকা দিয়েই ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কিনবে ইইউ!

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আটক রাশিয়ার সম্পদ থেকে পাওয়া মুনাফার অর্থ কিয়েভের জন্য ব্যয় করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)।  রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় ইউক্রেনিয় সেনাবাহিনীর চন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার কথা ভাবছে ওই জোট। পাশাপাশি ইউরোপের সুরক্ষা বাড়াতেও আলোচনা করছেন ই্উনিয়নের শীর্ষনেতারা।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপীয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একাধিক অ্যাকাউন্টে

কোটি কোটি ইউরো সরাসরি জব্দ করা না হলেও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনের লেনদেনের আওতার বাইরে রয়েছে৷ আর ওই অর্থ থেকেও বিশাল অংকের সুদ ও মুনাফা জমা হয়েছে।  বর্তমানে রুশ হামলা মোকাবিলায় অস্ত্র ও গোলাবারুদের অভাবে পড়েছে ইউক্রেন। তাই দেশটির এই বিপদের সময় রুশ অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে চাইছে ইইউ।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা এলক্ষ্যে রাশিয়ার ‘ফ্রোজেন অ্যাসেট' থেকে পাওয়া মুনাফা দিয়ে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার বিষয়ে  আলোচনায় বসছেন৷  মার্কিন কংগ্রেসে ৬,০০০ কোটি ডলার সহায়তা প্যাকেজ আটকে থাকায় ইউক্রেন যে সংকটে পড়েছে, রাশিয়ার আর্থিক সম্পদের মুনাফার অর্থ কিছুটা হলেও সেই ঘাটতি পূরণ করবে বলে ইইউ নেতারা আশা করছেন।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেওয়া এই পরিকল্পনাকে ‘দস্যুবৃত্তি ও চুরি' হিসেবে বর্ণনা করেছে রাশিয়া৷

নীতিগতভাবে ইইউ সদস্য দেশগুলি রাশিয়ার সম্পদ থেকে মুনাফা ইউক্রেনের কাজে লাগানোর পক্ষে হলেও সেই অর্থ কাজে লাগিয়ে সরাসরি অস্ত্র কেনার বিষয়ে কিছু দেশের সংশয় রয়েছে৷

বিশেষ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের  ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান ইউক্রেনকে আদৌ কোনো অস্ত্র পাঠানোর বিরোধিতা করে আসছেন৷ তাছাড়া কোনো সামরিক জোটের বাইরের থাকা দেশ হিসেবে মাল্টা, অস্ট্রিয়া ও আয়ারল্যান্ডও নিজস্ব নিরপেক্ষতা ভেঙে এমন উদ্যোগে সায় দেবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে৷ শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভব না হলেও রাশিয়ার সম্পদ থেকে মুনাফা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে৷

রাশিয়া শুধু ইউক্রেনেই হামলা সীমাবদ্ধ না রেখে ভবিষ্যতে ইইউ-র ভূখণ্ডেও হস্তক্ষেপ করতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে, ইউরোপকে রক্ষা করতে ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা কতটা উদ্যোগ নেবে, তা নিয়েও সংশয় বাড়ছে৷ এসব কারণে  ইউরোপের সুরক্ষা বৃদ্ধি ও অস্ত্র শিল্পকে চাঙ্গা করার বিষয়েও আলোচনা করছেন ২৭টি সদস্য দেশের শীর্ষ নেতারা৷

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন