জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা সোমালি জলদস্যুদের চারদিক থেকেই ঘিরে ফেলা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী ‘অপারেশন আটলান্টা’ সমুদ্রের পাশে অবস্থানরত জাহাজটিকে নজরদারিতে রেখেছে। পাশাপাশি সোমালিয়ার ভূমি থেকে জলদস্যুরা যেন কোনো সহযোগিতা না পায় তা নিশ্চিতে কাজ করছ দেশটির পুলিশ বাহিনী। বিবিসি সোমালিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউ বলেন, দস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে। জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।
মোহাম্মদ আলী আহমেদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই। এরইমধ্যে জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের জন্য মাদক সরবরাহের চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছ।
পুলিশ কমান্ডার মারদুউফ বলেন, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
উল্লেখ্য গেলো বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গভীর রাতে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর কাছেই একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী অপারেশন আটলান্টা। তাদের টুইটারে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে এমভি আবদুল্লার পাশে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। জাহাজটির ওপর দিয়ে চক্কর কাটছে একটি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।