মেঘনায় ট্রলার ডুবি : আরও তিন মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ কনস্টেবলসহ তিন যাত্রী।
রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনজনের মরদহ উদ্ধার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, দ্বিতীয় দিনের মতো তাঁরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটিকে সকালেই উদ্ধার করে তীরে আনা হয়। বিকেল ৩টার পর তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে এ ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। তারা হলেন পুলিশ সদস্য সোহেল রানা (৩৫) ও তার ছেলে রায়সুল (৫) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।
এনামুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীর তলদেশে তল্লাশি চালাচ্ছে। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব ব্রিজের নিচে ট্রলার ডুবির ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ তিন যাত্রীর সন্ধান পেতে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।