সমতায় শেষ স্পেন-ব্রাজিলের রোমাঞ্চকর লড়াই
১১ তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর লামিনে ইয়ামালকে ফাউল করে বসেন জোয়াও গোমেজ। স্পট কিকে স্পেনকে এগিয়েন নেন রদ্রি। পিছিয়ে পরার পরও ব্রাজিল বাড়াতে পারেনি তাদের আক্রমণের ধার। উলটো ৩৬ মিনিটে স্পেনের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন দানি অলমো।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকা ব্রাজিলকে খেলায় ফিরতে সাহায্য করেছে স্পেনই। আরও বিশেষভাবে বলতে গেলে গোলরক্ষক উনাই সিমোনের হাস্যকর একটি ভুল। বক্সের সামনে থাকা রদ্রিগোর পায়ে যেন বলটা যেন ছুঁড়ে মারেন তিনি। সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা ব্রাজিল কোচ দ্বিতীয়ার্ধের মাঠে নামান বিস্ময়-বালক এনদ্রিক ফিলিপেকে। কিছু দিন পর যে মাঠটি আপন ঠিকানা হতে যাচ্ছে ১৭ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ানের সেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের গোল পেতে সময় নিলেন মাত্র ৪ মিনিট। কর্নার থেকে তৈরি হওয়া বল পায়ে দৃষ্টিনন্দন এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এন্দ্রিক।
এরপর ম্যাচ সমানতালে চালিয়েছে দুই পক্ষই। তবে ৮৫ মিনিটে ফের পেনাল্টি হতাশ করে দেয় ব্রাজিলকে। এরপর রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর আগেও যখন ৩-২ ব্যবধানে পিছিয়ে ব্রাজিল তখনই দেখা মেলে আরেক চমকের। এবার পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পট কিকে পাকেতা গোল করে উল্লাসে মাতান ব্রাজিলকে।
ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয় ৩-৩ গোলে। স্পেন-ব্রাজিল ম্যাচের রোমাঞ্চ কর ম্যাচের স্বাদ যে শুধু প্রাণভরে দেখে উপভোগ করেছে, তার কাছে এই রেশ রয়ে যাবে আরও অনেক দিন। এমন ম্যাচে কেউ না হারাটাই খুব সম্ভবত এ ম্যাচের সৌন্দর্য।