আবারও বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ২
আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। এছাড়াও এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ২ জন। নিহত মুরুলী চন্দ্র (৪৩) কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের নিকটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।
স্থানীয়রা জানায়, বিএসএফ গুলিতে ৩ জন বাংলাদেশি আহত হয়। এসময় সঙ্গীরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী চন্দ্র মারা যান। আহত অপর দুইজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, রাতে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ কালীগঞ্জ থানায় রয়েছে।
এর আগে ২৫ মার্চ নওগাঁর পোরশা নিতপুর বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আল-আমিন (৩৮) নিহত হন। পরে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে ১৬ বিজিবি হাঁপানিয়া বিওপি-সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ সদস্য ও বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশ পৌঁছে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাঁপানিয়া বিওপি’র নায়েক সুবেদার আবু তালেব।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে আল-আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রিজ নামক স্থানে পৌঁছলে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন।