আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

করোনা এলো বেলুনে উড়ে!

উত্তর কোরিয়ার কিম প্রশাসনের দাবি গেলো দু’বছরে তাদের দেশ করোনামুক্ত ছিল। তবে এ বছরই ১২ মে তারা প্রথম করোনা সংক্রমণের কথা মেনে নেয়।

তবে তারা বলছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উড়ে আসা বেলুনের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে উত্তর কোরিয়াতে।  তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, সীমান্ত এলাকা দিয়ে বেলুনে বেঁধে নানা ধরনের প্রচারপত্র পাঠান দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজকর্মীরা। সেগুলির অধিকাংশ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সমালোচনামূলক। এ বিষয়ে আগেও বহু বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কিমের দেশ। গুলি করে বেলুন নামানোর ঘটনাও ঘটেছে। তা সত্ত্বেও বেলুন আসা বন্ধ হয়নি।

কিম প্রশাসনের অভিযোগ, এ বছর এপ্রিলে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের কাছে ইফো শহরে এমনই উড়ে আসা বেলুনের সংস্পর্শে এসেছিল শহরের এক শিশু এবং আঠারো বছরের এক তরুণ। পরে দেখা যায়, দু’জনেই ওমিক্রনে সংক্রমিত। 

উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইফো শহরে সম্প্রতি বেশ কিছু সংক্রমিতের খোঁজ পাওয়ো গেছে। জ্বরের উপসর্গ রয়েছে এমন কয়েক জন ইফোর বাসিন্দা পিয়ংইয়্যাংয়েও এসেছিলেন। তাদের থেকে রাজধানীতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন হাওয়ায় ভেসে আসা ‘অজানা’ বস্তু, বেলুন বা ওই জাতীয় বস্তুর উপরে কড়া নজরদারি চালাতে এবং সেগুলির উৎস খুঁজে বার করতে জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, কেউ কোনও ‘অজানা’ উড়ন্ত বস্তুর খবর পেলে তৎক্ষণাৎ যেন প্রশাসনকে তা জানান। তবে ‘অজানা’ বস্তু কী ধরনের হতে পারে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

উত্তর কোরিয়া প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, দেশের ২ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৪৭ লক্ষের করোনা সংক্রমণ ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। যদিও বাস্তবে সংক্রমিত এবং মৃতের সংখ্যাঅনেক বেশি বলেই মনে করছে অন্য দেশগুলি।

অন্যদিকে সমাজকর্মীদের ওড়ানো বেলুনের কথা অস্বীকার না করলেও এভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক মন্ত্রী। গেলো এপ্রিলে বেলুনের মাধ্যমে প্রচারপত্র পাঠানোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এবং সোলের দাবি, তারপর থেকে বেলুন উড়ানোর হিড়িক অনেকটাই কমে গেছে।

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন