আন্তর্জাতিক

আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় চার শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ১৩ দিনের আক্রমণে এসব ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।

রোববার (৩১ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গাজার মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক বাদ সংস্থাটির খবরে বলা হয়েছে, নিহতের মধ্যে রোগী, যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মী রয়েছেন।

আল-শিফা হাসপাতাল অবরোধের সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা মর্টার ও রকেট ফায়ার দিয়ে ইসরায়েলি সেনা ও সাঁজোয়া যানের ওপর হামলা চালিয়েছে।

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা। যুদ্ধ শুরুর পর এখানে আশ্রয় নেন অনেক নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি।

আল-শিফা-হাসপাতালে-ইসরায়েলি-হামলা-1

গেলো বছরের নভেম্বরে প্রথমবার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। সেসময় তারা হাসপাতাল ভবনের নিচে হামাস যোদ্ধাদের সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছিল বলে দাবি করেছিল। সেজন্য তারা ট্যাংক নিয়ে ঘেরাও করে রাখে পুরো হাসপাতাল এলাকা। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার অভিযান চালায় দখলদার দেশটি।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ১৯০ জন। গৃহহীন হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন