খেলাধুলা

শেষ বিকেলে উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সকালের কালো মেঘ বাংলাদেশের নিয়তি হয়ে ধরা দিল। প্রথম ইনিংসে দাপট দেখিয়ে শ্রীলঙ্কা দল ৫৩১ রানে ইনিংস শেষ করে। ব্যক্তিগত কোনো শতক না এলেও, ব্যাটারদের সম্মিলিত রান পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আজ দিনের শেষ ভাগে ব্যাট হাতে নেমে ১৫ ওভার খেলে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা এখনো পিছিয়ে ৪৭৬ রানে।

লঙ্কানদের দেওয়া ৫৩১ রানের পাহাড়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দিনের শেষ বেলায় ব্যাট হাতে নামেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। লক্ষ্য ছিল দুজন মিলে আজকের দিন শেষ করা। বড় রানের সামনে ব্যাট করতে নেমে, রান তোলায় পারদর্শিতা দেখিয়েছে দুই ওপেনার। ঝুঁকি ছাড়া শট খেলে কিছু রানে এগিয়ে রাখার প্রত্যয় ছিল জয় ও জাকিরের ধরনে।

সপ্তম ওভারের দিকে আম্পায়ার্স কলের কল্যাণে লেগ বিফোর হওয়া থেকে বেঁচে যান জাকির। জাকির বাঁচলেও, টেকা হলো না জয়ের। ইনিংসের ১৩তম ওভারে গিয়ে দারুণ লেন্থ বলে হালকা সুইংয়ে জয়ের ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে লাহিরু কুমারার ডেলিভারি। জয় ফেরেন ২১ রানে।

নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম। দিনের শেষ দুই ওভার জাকির ও তাইজুল মিলে আর কোনো বিপদ ছাড়াই কাটিয়ে দেন। জাকির অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মনের মাধুরী মিশিয়ে রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। সকালে যেমন কন্ডিশন ছিল, তাতে পেসারদের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের পেসাররা কন্ডিশনের ফায়দা তুলতে পারেনি। বিরতির পর খালেদের নেওয়া উইকেটে কিছুটা হালকা বোধ করলেও, বাংলাদেশ সুযোগ হেলায় হারিয়েছে আজকেও। স্লিপ থেকে ক্যাচ ফেলেছেন ৩ ফিল্ডার মিলে।

এসবের ফায়দা বাংলাদেশকে সবসময় দিতে হয়েছে। লঙ্কানরা যখন ৪৫০ ছাড়িয়ে ছুটছে, তখন সাকিবের ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের শিকার হন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ৭৫ বল খেলে ২৮ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। তবে ক্রিজে থিতু হতে পটু কামিন্দু মেন্ডিসের বিপক্ষে যেন কোনো সূত্রই পায় না বাংলাদেশ। সেই প্রথম টেস্টের মতো কামিন্দু এবারও বড় রানের দিকে ছুটতে থাকেন।

জয়াসুরিয়া যখন ফেরেন দলের রান ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৭৬। এরপর কামিন্দু সঙ্গী করে বিশ্ব ফার্নান্দোকে। একসাথে আরও আরও কিছু রান যোগ করেন। শেষ সেশনে এসে ৫০০ ছুঁইছুঁই থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ১১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন ফার্নান্দো।

শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দোকে সাথে নিয়ে দলীয় ৫০০ ছাড়িয়ে গেলেন কামিন্দু। কামিন্দুর ব্যক্তিগত শতক পূরণ হয় না আসিথা রানআউটের শিকার হয়ে ফিরলে। কামিন্দু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন