এনআইডিতে অনিয়ম ঠেকাতে ইসির ৩ নির্দেশনা
জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং আইন ও বিধি মোতাবেক নির্বিঘ্নে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন করতে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশেষ করে এনআইডির সেবার গতি বাড়াতে ও অনিয়ম ঠেকাতে আউটসোর্সিংয়ের জনবল সরিয়ে রাজস্ব খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এনআইডি অনুবিভাগের উপপরিচালক (মানবসম্পদ গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. আ. আজিজ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ইতোমধ্যে উপজেলা বা থানা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের বাস্তবায়নের জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন ও এর মাঠ পর্যায়ে উপজেলা বা থানা, জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে তিন হাজারের মতো জনবল আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশের অফিসগুলোতে নিয়োজিত আছে। এদের অধিকাংশই ভোটার কার্যক্রম তথা এনআইডি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, প্রোগ্রামার ও সহকারী পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন।
কর্মকর্তারা আরও জানান, বিভিন্ন সময় এনআইডি জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মে আউটসোর্সিংয়ের জনবলের সম্পৃক্ততা, অবহেলা ও গাফিলতির বিষয়টি উঠে আসে। ফলে তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
এনআইডির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জনগণের দুর্ভোগ লাঘব ও নির্বিঘ্নে এনআইডি নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইন ও বিধি মোতাবেক জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশন।
(ক) ভোটার তালিকা নিবন্ধন ও এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রমে রাজস্ব খাতের জনবল এর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যেসব উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটরগণ (রাজস্ব খাতভুক্ত) পদায়ন রয়েছে, সেসব অফিসে ভোটার তালিকা নিবন্ধন ও এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করণের উদ্দেশ্যে আবশ্যিকভাবে তাদের এনআইডি সংক্রান্ত সিস্টেম ও সফটওয়্যারের ইউজার আইডি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
(খ) মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আউটসোর্সিং জনবলের সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা/ থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়মিতভাবে মনিটরিং করতে হবে। এক্ষেত্রে মাসিক ভিত্তিতে মনিটরিং প্রতিবেদন পর্যায়ক্রমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে।
(গ) মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার নামে বরাদ্দকৃত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিজ ব্যতীত তৃতীয় কোনো ব্যক্তির নিকট দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।