মসজিদের অজুখানায় নবজাতকের কান্না, পুলিশ এসে উদ্ধার
নামাজের জন্য মসজিদে জড়ো হচ্ছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় অযুখানা থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলে সেখানে গিয়ে এক নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামের মসজিদের। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে নবজাতককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে কে বা কারা নবজাতকটিকে মসজিদের অজুখানায় রেখে চলে যায়। এক পর্যায়ে কান্নার আওয়াজ শুনে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা সেখানে গিয়ে নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে হোসেনপুর থানায় খবর দিলে পুলিশসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো বলেন, গতকাল আনুমানিক রাত ১টার দিকে ছেলে শিশুটিকে আমাদের হাসপাতালে হোসেনপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিয়ে আসা হয়। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মুসল্লিরা বাচ্চার কান্না শুনতে পান। পরে লোকজন মসজিদের অজুখানায় নবজাতককে দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেয়। তারা নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আমাদের ইউএনও শিশু বাচ্চাটির খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা শিশুটি বাচ্চাটির পরিচর্যার জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডা. তানভীর হাসান জিকো আরও বলেন, বাচ্চাটি দেখে মনে হয়েছে ৫ থেকে ১০ দিন বয়সের হবে। বাচ্চাটির খাবারের ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে। সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য নার্সসহ আমরা তদারকি করছি। বাচ্চাটির আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। দেখব জন্ডিস আছে কিনা। সব মিলিয়ে ভালোই আছেন।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাত ১টার দিকে বাচ্চাটিকে হোসেনপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হোসেনপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাচ্চাটি মোটামুটি ভালো ও সুস্থ আছে। ডা. তানভীর হাসান জিকুসহ নার্সরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
তিনি আরও জানান, বাচ্চাটিকে হয়তো কেউ ছেড়ে চলে গেছে কেন-কীভাবে হয়েছে ওইটা আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নেব বাচ্চাটির কী করা হবে। সমাজসেবা অফিসারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখতেছি কি করা যায়।