আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আরও ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পি কে হালদার

পি কে হালদারকে আবারও ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক।  পি কে হালদার ছাড়াও এই নির্দেশনা তার বাকি ৫ সহযোগীর জন্যও কার্যকর হবে।

আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে তোলা হয় পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদার, দুই ভাগ্নে স্বপন ও উত্তম মৈত্র, বান্ধবী শারমিন হালদার এবং তাদের সহযোগী ইমাম হোসেনকে।

এডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী নতুন করে কারাগারে গিয়ে পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন এবং ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে সবশেষ গেলো ২১ জুন পি কে হালদারকে একই আদালতে তোলা হয়। সেদিন ইডির পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী অন্য একটি মামলায় হাইকোর্টে আটকে যাওয়ায় বিচারক এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দেন।

এদিকে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী এ দিন জানিয়েছেন, গ্রেফতার পি কে হালদারের নামে বেনামে প্রচুর সম্পদের হদিস মিলেছে। সেগুলো জব্দের প্রক্রিয়া চলছে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রায় শেষ। খুব শিগগিরই মামলার চার্জশিট জমা দেয়া হতে পারে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পি কে হালদার পরিকল্পনা করে স্থানীয়দের নামে বহু সম্পদ কিনেছিলেন। বেনামে প্রায় ১৮টি বাড়ির হদিস পাওয়া গেছে। এমনকি নগদ ৮০ লাখ টাকারও সন্ধান মিলেছে। পি কে হালদারকে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করেছে তার ভাই প্রাণেশ হালদার। সে কারণেই দুই দফায় তার জামিন আবেদন করা হলেও ইডির আইনজীবীরা তার বিরোধিতা করেন। 

গেলো ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। গেলো ১৭ মে পি কে হালদারের আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কলকাতার একটি আদালত। 

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন