ছয় জেলায় ঝড় ও বজ্রপাতে নিহত ১০
সকালের আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট ও ভোলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী আঘাত হানে।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ১০টা দিকে পিরোজপুর সদরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। আকস্মিক ঝড়ে গাছচাপা পড়ে মারা যান রুবি বেগম নামের এক নারী। তীব্র বাতাসে বড় গাছ ভেঙে পড়ে ইউপি সদস্য হারুন শেখের বাড়ির ওপর। এতে দুইতলা টিনের বাড়ি মাঝ বরাবর ধসে যায়। এতে গাছের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুবি বেগম।
পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠী গ্রামে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন নবম শ্রেণীর ছাত্র রাতুল। এছাড়া দাসপাড়া ইউনিয়নের বাহের দাসপাড়া গ্রামে গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন বৃদ্ধা সাফিয়া বেগম।
সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঝালকাঠিতে। জেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের সময় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান কাঁঠালিয়া উপজেলার গৃহবধু হেলেনা বেগম, সদর উপজেলার পোনাবালিয়া এলাকার ঈষানা ও শেখেরহাট গ্রামের গৃহবধূ মিনারা বেগম।
বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত ও অসংখ্য ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় কচুয়া উপজেলার মঘিয়ায় বজ্রপাতে নিহত হন লিকচান সরদার (৩৫) নামে এক কৃষক।
খুলনার ডুমুরিয়া উজেলার গুটুদিয়া গ্রামের কোমলপুরে সকাল আটটার দিকে মো. ওবায়দুল্লাহ নামের একজন বজ্রপাতে মারা যান।
এদিকে, ভোলার লালমোহনে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে ঘরের ওপর পড়ায় হারিস নামের এক ভিক্ষুক ও বজ্রপাতে বাচ্চু নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট, দাসেরহাট, সেনারচর, দক্ষিণ সাকুচিয়া ও পূর্বসোনারচর এলাকায় এবং তজুমদ্দিন উপজেলার সম্ভপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগে জানানো হয়েছিলো, রোববার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসও দেয়া হয়।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয় পাদদেশের পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সেজন্য পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, যশোর, খুলনা, ফরিদপুরসহ ১২ জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।