কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কিশোর গ্যাং বা কিশোর অপরাধ মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এসময়ে রপ্তানি ও স্থানীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ সহজ করতে জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রথাগতভাবে যেভাবে অপরাধীদের মূল্যায়ন করা হয় সেভাবে কিশোর গ্যাং বা কিশোর অপরাধীদের না দেখে তাদের সংশোধনের সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অন্য দাগী অপরাধীদের সঙ্গে তাদের একই কারাগারে রাখা যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন।
জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন প্রসঙ্গে মাহবুব হোসেন বলেন, রপ্তানি পণ্য উৎপাদন স্থান থেকে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যাত্রাটি যাতে বাধাহীন হয়, সে জন্য কী সহায়তা করা যায়, সেটার জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। লজিস্টিকের কিছু অবকাঠামো খাত আছে। তার মধ্যে যোগাযোগের যে অবকাঠামো আছে, সেখানে সবাই সড়ক নির্ভর হয়ে গেছে। সামনে রেল ও নৌপথ নির্ভরতা বাড়াতে যা যা করণীয়, তা করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া জিপিএস ট্র্যাকিং ও কানেকটিভিটি হাব, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি কানেকটিভিটি হাব হবে, সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ওয়ারহাউস (গুদামঘর) ও পণ্য যাতে পচে না যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। রপ্তানি কিংবা স্থানীয় বাজারের জন্য পণ্যের অবাধ যাতায়াতের কথা এই আইনে বলা হয়েছে।
সচিব বলেন, লজিস্টিক চ্যানেলের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। অর্থাৎ লজিস্টিক খরচ কমাতে হবে। এতে ১৯ শতাংশ খরচ কমে যাবে রপ্তানির ক্ষেত্রে। আর এটা করতে যা যা করা দরকার, সেই সহায়তা দেয়া হবে। খরচ কমিয়ে সময়মতো সেবা দেয়ার জন্যই আইনটি করা হয়েছে।