হামাস নির্মূলে রাফায় শিগগিরই অভিযান: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
‘ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় অভিযানের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং হামাস নির্মূলে শিগগির সেখানে অভিযান চালানো হবে। সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং হামাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি বিজয় অর্জন করা ইসরায়েলের লক্ষ্য।’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন। তবে নির্দিষ্ট তারিখ তিনি ঘোষণা করেননি।
সোমবার এ তথ্য দেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো দিন-তারিখের কথা উল্লেখ করেননি। খবর বিবিসির।
কায়রো আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন হাতে এসেছে জানিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। লক্ষ্যগুলোর প্রথমেই রয়েছে আমাদের সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং হামাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি বিজয় অর্জন করা। এই বিজয়ের জন্য প্রয়োজন রাফায় প্রবেশ করা এবং সেখানে থাকা সন্ত্রাসী দলগুলোকে নির্মূল করা। এটা করা হবে। একটি তারিখ ঠিক করা আছে।’
নেতানিয়াহু এমন সময় রাফায় অভিযান শুরুর দিনক্ষণ নিয়ে কথা বললেন, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি ও কারাবন্দিদের মুক্তির জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনায় বসেছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ই অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করার পর ছয় মাস হয়ে গেছে। ওইদিন হামাস হামলা চালিয়ে ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা করে এবং শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর জবাবে ‘হামাসকে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংস করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন। সামরিক অভিযানের প্রধান লক্ষ্য ছিলো হামাস যাতে তাদের জন্য আর কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে এবং ইসরায়েল যেন তাদের সব জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারে।
ইসরায়েলের চালানো সেই অভিযান এখনও চলছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর ছয় মাস পার হয়ে সাত মাসে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজা এরইমধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। হাজারো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে হামলায় অন্তত ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং গাজার বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া হামলায় ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। তারা সবাই মারা গেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রাখায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এত কিছুর পরও ইসরায়েলের তরফ থেকে যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই।