দেশজুড়ে

পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে দুই সন্তানের জননী খুন

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রেমিকের হাতে শাহনাজ পারভীন (২৫) নামে দুই সন্তানের জননী খুন হয়েছেন। নিহত শাহনাজ পারভীন দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের আব্দুল মজিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজু পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিহত শাহনাজের স্বামী মজিদ গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করার সুবাদে ঢাকায় থাকতো। দুই বছর আগে প্রতিবেশী আইনুলের ছেলে রাজুর (২৭) সাথে পরকীয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শাহনাজ। এক সময় কোন এক কারণে তাদের পরকীয়া প্রেম ভেঙ্গে যায়।

এদিকে ঈদের দিন  সকালে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে গেলে। আগে থেকে  উৎপেতে থাকা রাজু শাহনাজের বাড়িতে যায়। এর মাঝে শাহনাজের বড় মেয়ের সামনে শোবার ঘরে ধারালো দেশী অস্ত্র (ছুরি) দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে গলা কেটে পালিয়ে যায়।

নিহতের মেয়ে মাইশা আক্তার জানান,তাঁর মাকে ছুরি দিয়ে মারে। সে চিৎকার দিলে দৌড়ে পালিয়ে যান রাজু।

এসময়ে  কান্না ও চিৎকারে স্থানিয়রা এগিয়ে এলে শাহনাজের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেয়।

পুলিশ জানায়, ৮/৯ মাস আগে কিছুদিন অভিযুক্ত রাজু ও নিহত শাহনাজ নিখোঁজও ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। কিছুদিন পর বাড়ি ফিরলে প্রথমে স্বামী তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়।

গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মোবাইলে কথা বলতো। চলেও গেছিল রাজুর সঙ্গে। সন্তানদের দিকে চেয়ে শাহনাজকে  নিয়ে ঢাকায় চলে যান। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো, যে তাকে ও শাহনাজের সঙ্গে সংসার করতে দিবে না।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, মরদেহের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য  মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাকত রাজুকে আটকের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী দম্পত্তির ৬ বছরের একটি মেয়ে ও একটি ৪ মাস বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন