সদরঘাটে দুর্ঘটনা: দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন
সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পাশাপাশি এমভি ফারহান ৬ ও তাসরিফ ৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া দুই লঞ্চের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কমিটিতে পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে এমভি তাসরিফ ও এমটি টিপু নামে দুটি লঞ্চ পন্টুনে বাঁধা ছিল। বিকেল ৩টার দিকে ভোলা থেকে আসা লঞ্চ এমভি ফারহান ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে পন্টুনে ভেড়ার চেষ্টা চালায়। তবে সেটি সফল হয়নি। উল্টো ফারহানের ধাক্কায় তাসরিফের দড়ি ছিঁড়ে গেলে, তার আঘাতে লঞ্চটিতে উঠতে চাওয়া কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আঘাত পান। তাদের মধ্যে শিশুসন্তান সায়মাকে নিয়ে বিল্লাল ও তার স্ত্রী মুক্তা ছিলেন।