মুক্তিপণ নিয়ে যা জানালো এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ
ছিনতাইয়ের ৩১ দিন পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। তবে মুক্তিপণ নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠলেও মালিকপক্ষ জানিয়েছে দস্যুদের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা মুক্তিপণের অর্থের কথা প্রকাশ করতে পারবেন না।
রোববার (১৪ এপ্রিল) এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানান, তিনি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী মালিকপক্ষ গণমাধ্যমের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারবেন না।
সিইও জানান, কারণ তাঁরা চুক্তি সই করেছে। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় উভয়পক্ষ আমেরিকান নিয়ম মেনেছেন এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছেন। সবার সঙ্গে তাঁদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে তাঁরা সবকিছু আইন মেনে করেছেন।
এদিকে জাহাজটি মুক্ত হবার পরে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ২৩ নাবিক তাঁদের অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা তুলে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি তাঁরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে নেমে যায়।
প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়।