আওয়ামী লীগ

প্রার্থীর সংখ্যা হিসাব করে দেখিনি: কাদের

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কতজন, আমরা তা হিসাব করে দেখার তাগিদ অনুভব করিনি। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১২টায় ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা নির্বাচন হবে। সেখানে দলীয় প্রতীক থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ না করতে। নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়। কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রশাসনও কোনো প্রকার ইনজাস্টিস করবে না।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কতজন? এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের কতজন প্রার্থী, আমরা তা হিসাব করে দেখার তাগিদ অনুভব করিনি। আমরা সবাইকে সুযোগ দিয়েছি।

এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানামতে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে কাউকে না যাওয়ার আহ্বান করেছে এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতের আহ্বান নিয়ে আমরা কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া আমরা দিচ্ছি না।

উপজেলা নির্বাচনের একজন প্রার্থীকে অপহরণ করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত বড় একটা নির্বাচন, তাতে টুকটাক কিছু ঘটনা যে ঘটবে না, ঘটেনি তা নয়। তবে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কোথাও ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনিকভাবে আমরা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতানিয়াহু বর্তমান বিশ্বের হিটলার। এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি সহনীয় অবস্থায় বিরাজমান রাখতে প্রধানমন্ত্রী যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা বিরল। ঈদে অর্থপ্রবাহ বাড়ায় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াস কার্যকর করতে আওয়ামী লীগ নির্দেশনা মেনে চলবে।

বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে পিছিয়েছে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে বলব, আপনার দেশ গণতন্ত্র সূচকে কত ধাপ পিছিয়েছে?

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দি, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন