পেনাল্টিকে কেন্দ্র করে চেলসি খেলোয়াড়দের ধাক্কাধাক্কি
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৪ মিনিটে বক্সের ভেতর কোল পালমার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় চেলসি। রেফারি সিদ্ধান্ত জানোর পর বল ছিল মালো গুস্তোর হাতে। তাঁর কাছ থেকে বল নিতে ছুটে যান ননি মাদুয়েকে এবং নিকোলাস জ্যাকসন। তবে জ্যাকসনকে পেছনে ফেলে থাবা দিয়ে বলটি কেড়ে নেন মাদুয়েকে। এরপর শুরু হয় মাদুয়েকে ও জ্যাকসনের মধ্যে বাক বিতণ্ডা। গুস্তো চেষ্টা করেন জ্যাকসনকে থামাতে, তবে জ্যাকসন কানেই নিচ্ছিলেন না গুস্তোর কথা।
এরপর দুজনের বিবাদ মেটাতে আসেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। অভিজ্ঞ সিলভা কোনো রকমে বুঝিয়ে–সুঝিয়ে জ্যাকসনকে সরিয়ে নেন। বল তখন মাদুয়েকের কাছ। এমন সময় সেই বল নিতে এগিয়ে আসেন পালমার ও অধিনায়ক কনর গ্যালাগার। পালমার এসেই বলের দিকে হাত বাড়ালে বল অন্য দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেন মাদুয়েকে। এর মধ্যেই গালাগার বল কেড়ে নিয়ে তুলে দেন পালমারের হাতে।
পালমার বল হাতে নিতেই আবার বল নিতে ছুটে আসেন জ্যাকসন। এ সময় জ্যাকসনকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন পালমার। স্পট কিক নেওয়ার জন্য পালমার বল বসানোর সময় গ্যালাগার একরকম জোর করে সরিয়ে দেন জ্যাকসন ও মাদুয়েকেকে।
পরে পেনাল্টি থেকে প্রথমার্ধেই হ্যাট্রিক করা পালমার নিজের চতুর্থ গোলটি করেন। শেষ পর্যন্ত স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এভারটনের বিপক্ষে চেলসি ম্যাচটি জিতেছে ৬-০ গোলে। তবে বড় জয়ের পরও ম্যাচে খেলোয়াড়দের এমন আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন চেলসি কোচ পচেত্তিনো। পালমারেরই পেনাল্টি নেওয়া কথা ছিল বলে জানান আর্জেন্টাইন এ কোচ।
"পেনাল্টি গ্রহণকারী হলেন পালমার। এটা পালমারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সে বলটি সতীর্থকে দিতে চায় কিনা। এটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই একমত যে জ্যাকসন ও মাদুয়েকে ভুল করেছে। এই ধরনের আচরণ আমরা দেখাতে পারি না। কোনোভাবেই না। মনে হচ্ছিল ওরা স্কুলের বাচ্চা। কনর গ্যালাগার খুব ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে।”
বড় জয় পেলেও পয়েন্ট তালিকায় ভালো অবস্থানে নেই চেলসি। ৩১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে তালিকার নয় নম্বরে। অবশ্য আটে থাকা ওয়েস্ট হামের চেয়ে দুটি ম্যাচ কম খেলেছে ব্লুজরা।