রণবীরকেও টেক্কা দিলেন আলিয়া
বলিউডের ময়দানে দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার পর নিন্দুকদের তরফে ‘নেপোকিড’ তকমা পাওয়া আলিয়া কিন্তু হলিউডের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন ‘হার্ট অফ স্টোন’ সিনেমার সুবাদে। আর এবার অভিনেত্রীর মুকুটে জুড়ল নতুন পালক।
করণ জোহারের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ এখন বলিউডের ‘ক্যুইন’। দ্বিতীয় ছবি ‘হাইওয়ে’ থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন আলিয়া ভাট। এক দশকের কেরিয়ারে একের পর এক ভিন্ন স্বাদের সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। জাতীয় পুরস্কার, একাধিক ফিল্মফেয়ার-এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকেও পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। বলিউড তো বটেই এমনকী পাশ্চাত্যের বিনোদুনিয়াতেও আলিয়ার ভক্তসংখ্যা অগণিত। ‘কাপুর বাড়ির বউমা’ বর্তমানে গ্লোবাল স্টার। শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নন, বরং প্রযোজক হিসেবে ছক্কা হাকাচ্ছেন তিনি। সিংহভাগ প্রযোজকরা যখন বক্স অফিসের নম্বর নিয়ে মাথা ঘামান কিংবা বক্স অফিসের ইঁদুর দৌড়ে শামিল হন, তখন আলিয়া ভাট কিন্তু চিরাচরিত পথে হাঁটেন না। বরং প্রযোজক হিসেবে কনটেন্টকেই রাজার সিংহাসনে বসান আলিয়া। এবার টাইমস ম্যাগাজিনে ২০২৪ সালের বিশ্বের একশো প্রভাবশালী মানুষদের তালিকায় নাম উঠল আলিয়া ভাটের।
চলতি বছর বলিউড থেকে একমাত্র তারই নাম রয়েছে এই তালিকায়। ব্রিটিশ লেখক তথা পরিচালক টম হার্পার কাপুরবধূর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কাজের আলিয়ার নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম দেখে মুগ্ধ তিনি। উল্লেখ্য, হার্পারের ‘হার্ট অফ স্টোন’ দিয়েই হলিউডে পা রেখেছিলেন আলিয়া ভাট। বলিউড অভিনেত্রীর প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, “‘হার্ট অফ স্টোন’-এর সুবাদে আলিয়ার সঙ্গে পরিচয়। ওটাই ওর ইংরেজি সিনেমায় হাতেখড়ি। জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও মাটিতে পা রেখে চলা একজন মজার মানুষ। ওর কাজের একটা ধরণ রয়েছে। ভীষণ মনোযোগী। চরিত্রের প্রয়োজনে যে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না আলিয়া। ও প্রকৃতঅর্থে আন্তর্জাতিক মানের তারকা।” স্বামী রণবীর কাপুরের হাতে একগুচ্ছ প্রজেক্ট থাকলেও বর্তমানে তার থেকেও যে বেশি চর্চিত আলিয়া, সেকথা ভক্তরাও একাধিকবার বলেছেন। অন্যদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দেব প্যাটেলের নামও রয়েছে টাইমস-এর নীরিখে বিশ্বের একশো প্রভাবশালীর তালিকায়।