বাংলাদেশ

ঈদের পরে দাম বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের, কমেছে সবজির

ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এখনো কমেনি। এর মধ্যে নতুন করে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজের দাম। ঈদের কারণে বাজার এখনো জমে না ওঠায় সবজির দাম কমেছে

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে গণমাধ্যমের কাছে।

বাজার ঘুরে জানা যায়, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সার বীজ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবার আলুর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে কৃষক, কোল্ড স্টোরেজসহ কয়েকবার হাত বদলের পর খুচরা পর্যায়ে এসে দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে।

বাজারে মটরশুঁটি ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৬৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, করলা (বড়)-৬০ টাকা, করলা (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, লাউ আকারভেদে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি-পাতাকপি ৩৫-৪০ টাকায় প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাহিদ হাসান জানান, ছুটি কাটিয়ে যারা ঢাকায় এসেছেন তারাও আসার সময় গ্রাম থেকে সবজি ও ফলমূল নিয়ে আসে সাধারণত। যার কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম। সবজির চাহিদা কম থাকায় কমেছে দামও। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে প্রতিটি সবজিরই ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে।

পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতিকেজি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যেটি বিক্রি হয়েছিল ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকায়। আর আড়তে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর এখনও বাড়েনি পেঁয়াজের সরবরাহ। তাতেই দাম কিছুটা বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই ৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২৮০-৩০০ টাকা, আকার ভেদে ইলিশ মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, বড় কৈ ৬০০ টাকা, শিং ৮৫০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৭০০ টাকা, কালবাউশ ৪৫০ টাকা ও আইড় ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, মলা ৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা ও লৈট্টা ৩০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি মাছেরই  কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কম। যার কারণে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

মাছের ক্রেতা সাব্বির আহমেদ জানান, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু মাছের দাম বাড়তি। পাবদা মাছ ঈদের আগে ৪৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলেন। আজ কিনলেন ৫০০ টাকা কেজিতে। আর কাঁচকি মাছ নিয়েছি ৩৬০ টাকায়, যেটা আগে ৩২০ টাকায় নিতাম। আসলে সব ধরনের মাছেই ২০ থেকে ৫০ টাকা দাম বাড়তি।

এদিকে, দাম বেড়েছে রসুনেরও। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৬০-১৭০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আর আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন