আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গ্রিসে বিধ্বস্থ বিমানে কোনো অস্ত্র ছিল না: আইএসপিআর

সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী ইউক্রেনের একটি কার্গো বিমান শনিবার (১৬ জুলাই)  গভীর রাতে উত্তর গ্রিসের কাভালা শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।

আজ রোববার (১৭ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, সার্বিয়া হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্থ হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এ চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং উক্ত চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।

এদিকে বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে তার দুই কিলোমিটারের ভেতরে লোকজনকে ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এই কার্গো বিমানের আটজন ক্রুর সবাই মারা গেছেন। 
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ছড়িয়ে পরা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং বিধ্বস্ত হওয়ার সময় সেটি এক বিরাট আগুনের গোলায় পরিণত হয়।

নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আজ রোববার (১৭ জুলাই) সকালে দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে ড্রোন পাঠানো হয়।

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সাংবাদিকদের কাছে গ্রিসের দমকল বাহিনীর লে. জেনারেল মারিওস আপোস্তোলিদিস বলেছেন, বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়, অন্যভাবে বলা যায়, সেখানে তীব্র ধোঁয়া এবং তাপ তৈরি হয়েছে।  আরো এক ধরনের সাদা পদার্থ দেখা গেছে কিন্তু সেটি কী আমরা এখনও চিনতে পারিনি। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানাতে হবে এসব কী এবং আমরা সেখানে যেতে পারবো কি না।

খবরে বলা হচ্ছে উড্ডয়নের পর পর বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়ার কারণে পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি-ভিত্তিতে অবতরণের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেটি রানওয়েতে পৌঁছাতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে বিমানটিকে খেয়াল করে।  

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী  আমিলিয়া সাপ্তানোভা বলেছেন, বিমানটি যে তাদের বাড়িতে বিধ্বস্ত হয়নি তাতে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। ধোঁয়ায় ভর্তি ছিল, এমন শব্দ হচ্ছিল।  এটি পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়। সেখানে এত আগুন ছিল যে তিনি দেখে ভয় পেয়ে যান। পাশের রাস্তা দিয়ে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে, সেগুলো তখন থেমে যায় কারণ বিধ্বস্ত বিমান থেকে অনবরত বিস্ফোরণ হচ্ছিল।  

সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোসা স্টেফানোভিচ বলেছেন আন্তোনভ এএন-১২ কার্গো বিমানটি  ঢাকায় পৌঁছানোর আগে বিমানটির জর্ডান, সৌদি আরব এবং ভারতে থামার কথা ছিল।  ইউক্রেনের একটি কার্গো এয়ারলাইন মেরিডিয়ান এই বিমানটি পরিচালনা করতো।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সার্বিয়া থেকে যাত্রা করার পর গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটি ১৮ জুলাই দুপুর ১২টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন