মোবাইলে গান শোনায় স্বামীর হাতে স্ত্রী-সন্তান খুন
সন্তানদের মোবাইলে গান শোনাকে কেন্দ্র করে স্বামীর হাতে স্ত্রী-সন্তান খুন হয়েছে।
এ অভিযোগে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতেই ঘাতক স্বামী শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমদ।
নিহতরা হলেন- শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০), তার মেয়ে আফরিন (৫)। আর এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে অপর সন্তান আলামিন।
গ্রেপ্তার হওয়া শহীদুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর চিনিরচড়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠুরিয়া।
পুলিশ সুপার জানান, ঘাতক শহীদুল ইসলাম সন্ধ্যা ৭টার দিকে দাউদ বাজারের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলেন। এসময় তার দুই সন্তান আফরিন ও ছেলে আল আমিনের মোবাইলে গান শোনা নিয়ে বিরক্ত হয়ে তাদের মা, সন্তানদের গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রান্না ঘরে থাকা বাঁশের মোড়া দিয়ে পেছন থেকে প্রথমে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন। এসময় সে মাটিতে পরে গেলে তার দুই সন্তান এগিয়ে আসলে শহীদুল ইসলাম তাদেরকেও মাথায় সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দাউদপুর বাজারে চলে যান।
ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সে পুনরায় বাসায় এসে কে বা কারা তার স্ত্রী সন্তানকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে বলে ডাক চিৎকার করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সহকারে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করে এবং দুই সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মেয়ে আফরিন জান্নাত রোববার সকালে মারা যায়। ছেলে আল আমিন সেখানে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আসামি শহীদুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।