আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাজশাহীতে প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান তরুণী

বহুকাল থেকে প্রেমের জন্য বিখ্যাত সব উপন্যাস, কবিতা লেখা হয়েছে। বলা হয় প্রেম মানে না জাতি ধর্ম। তাই তো প্রেমের স্বীকৃতি দিতে এবার মালয়েশিয়ার এক খিষ্ট্রধর্মের তরুণী রাজশাহীতে এসে ধর্মান্তরিত হয়ে এক মুসলমান যুবককে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি রীতিমত পুরো রাজশাহী জুড়েই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রেমের টানে রাজশাহী আসা মালয়েশিয়ান তরুণীর নাম সান্ডি। তিনি বিয়ে করেছেন তার প্রেমিক জুলফিকারকে। জুলফিকার রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। জুলফিকার এক সময় মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতেন। সেখানেই তাদের মন দেয়া নেয়া শুরু হয়। তবে আগে তরুণীর নাম স্যান্ডি থাকলেও বর্তমান তার নাম আলিশা অ্যানি। তিনি মালয়েশিয়ার পাসপোর্ট দপ্তরে কর্মরত।

জুলফিকার বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে পড়ালেখার জন্য তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। তিনি ওই সময় পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। সেখানেই স্যান্ডির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক সময় তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। জুলফিকার বর্তমান বাংলাদেশেই রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই মালয়েশিয়া থেকে চলে আসেন স্যান্ডি। ঈদের তিন দিন পর গেলো ১৪ জুলাই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। এই বিয়ে নিয়ে জুলফিকারের ভাই-বোন ও মা আত্মীয়-স্বজন খুশি বলেও মন্তব্য করেন। সত্যিকারের ভালোবাসা কোনো বাধা, ধর্ম ও ভাষা মানে না বলে উল্লেখ করেন জুলফিকার। প্রেমের জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে পরিবার ছেড়েছেন স্যান্ডি। তার ভালোবাসা অবশ্যই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।

আলিশা অ্যানি জানান, বাংলাদেশ এবং রাজশাহী তার ভীষণ ভালো লেগেছে। তার শ্বাশুড়ি মা তাকে পছন্দ করায় এবং পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি অনেক খুশি এবং আনন্দিত। শ্বাশুড়ির সঙ্গে সংসারে কাজ করতে চান। কিন্তু তার শ্বাশুড়ি ভালোবেসে কিছুই করতে দেন না বলেও জানান মালয়েশিয়ান নববধূ। সামনে সপ্তাহে স্বামী জুলফিকারকে নিয়ে তিনি নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় ফিরতে চান। সেখানে দুইজনই নতুনভাবে নিজ ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান তিনি।

মেহা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন