কুবিতে ১৪ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ১৪ দফা দাবি পূরনের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টায় এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত হয়। পরে মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রকল্যাণ ফি থেকে আলাদাভাবে ছাত্রকল্যাণ ফান্ড গঠন, ছাত্রীদের জন্য একাডেমিক ভবনে কমনরুম এবং নামাজের রুম নিশ্চিত করা, সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠন গুলোর জন্য আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা, নতুন ছাত্রী হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উঠানো, ক্যাম্পাস এরিয়ায় উচ্চ গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই সেবা নিশ্চিতকরন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নির্মানসহ মোট ১৪ দফা দাবি পেশ করা হয়।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া স্বত্ত্বেও ছাত্রদের এসব ন্যায্য দাবি গুলো দীর্ঘদিন থেকেই উপেক্ষা করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বারবার গবেষণার কথা বললেও এই গবেষণার বাজেট ব্যবহার হচ্ছে কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও খাবারে ভর্তুকির কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ সংগঠনগুলোকে কক্ষ বরাদ্ধ দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোনো আসবাবপত্র। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কিছু করতে গেলে নেওয়া হয় না শিক্ষার্থীদেরই মতামত। আমরা আন্দোলন করলেও প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের এই ১৪ দফা দাবি একদিনে তৈরী হয়নি। এখানের সমস্যাগুলো গত ১৬ বছরে তিলেতিলে তৈরী হয়েছে। অথচ এতোদিনেও এসবের কোন সুরাহা হয়নাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বান্ধব সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু শিক্ষার্থী বান্ধব কোন সিদ্ধান্ত কখনও নেয়া হয়না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমান উপাচার্য আসার পর একবারের জন্যেও শিক্ষার্থীদের কোন দাবি শুনে নাই সমাধান তো দূরের কথা। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তাল করার জন্য উনি ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। উনি আসার পর একটা মহলকে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের কথা ভাবছেন না। কোন ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন নাই। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মত বিচার দেয়ায় যেন ভিসির কাজ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৯ এবং ২০ জুলাই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং নওয়াব ফরজুন্নেছা চৌধুরানী হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।