কথায় কথায় তর্ক জোড়ে সন্তান? এই ৫ উপায়ে তাকে সামলান
সন্তানের সঙ্গে প্রত্যেক বাবা-মায়ের সম্পর্ক হয় মিষ্টি এবং সুন্দর। কিন্তু প্রত্যেক সম্পর্কেই তো টানাপোড়েন থাকে, তাই এই সম্পর্কের ক্ষেত্রেও দেখা যায় নানা সমস্যা। বিশেষ করে সন্তান কৈশোরে পা দেওয়ার পর পরই বাবা-মায়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতবিরোধ হতে শুরু করে। অভিভাবকের কথা না মেনে নিয়ে নিজের মতামত দিতে শুরু করেন তারা। আর এখানেই বাধে সমস্যা। তর্ক-বিতর্ক তো হয়ই, কোনও কোনও সময়ে অশান্তি চরমে ওঠে।
এমন পরিস্থিতিতে তর্ক করবেন না, জেনে নিন সামাল দেবেন কী ভাবে।
১. সন্তানের কথাগুলি মন দিয়ে শুনুন
আপনার সন্তান এখন বড় হয়েছে, তাই তার বিচার বুদ্ধিও তৈরি হয়েছে। এই সময়ে তার মতামতকে হেলায় ফেরাবেন না। বরং তার কথাগুলি মন দিয়ে শুনুন। তারপরে তাঁকে যথাযথ উত্তর দিন। আর তিনি তর্ক করার চেষ্টা করলেও আপনি শান্ত থাকুন। তাহলেই দেখবেন সম্পর্ক অনেকটা সরল হয়ে যাবে।
২. তাকে সমস্যা সমাধানের পাঠ পড়ান
ছোট থেকে বড় হওয়ার পরেই প্রত্যেকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করেন। বয়ঃসন্ধিতে তাদের শরীরেও নানা পরিবর্তন আসে। আর এত পরিবর্তন একসঙ্গে সামাল দিতে না পেরে সমস্যায় পড়েন তারা। দিশেহারা হয়ে যান। তাই আপনার সন্তানকে এই সময়ে আরও ঘাবড়ে দেবেন না। বরং তাকে সমস্যা সমাধানের পাঠ পড়ান। কী ভাবে কোনও কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়, সেসব শেখান। তাহলেই কাজ হবে।
৩. আবেগে লাগাম পরান
কৈশোরে প্রত্যেকেই বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। আর এমন আবেগপ্রবণ হওয়ায় কোনও ভুল নেই। বরং এটা জীবনের শেখার সময়। তাই আপনার সন্তানকে আবেগপ্রবণ হতে দিন, কিন্তু বাড়াবাড়ি মেনে নেবেন না। তিনি যেন সময় বুঝে নিজের আবেগে লাগাম পরাতে পারেন, এমন শিক্ষাই তাঁকে দিন। তিনি খুব রাগারাগি করলে তাঁর সঙ্গে ধীর স্বরে কথা বলুন। তিনি কান্নাকাটি করলে তাঁর পিঠে ভরসার হাত রাখুন। আপনিই হয়ে উঠুন তার মনের জোর।
৪.সন্তানের মতের মিল নাও হতে পারে
আপনার কথার সঙ্গে সন্তানের মতের মিল নাও হতে পারে, কিন্তু তাই বলে কি তিনি চিৎকার করতে শুরু করবেন? এমন ব্যবহার কখনও মেনে নেবেন না। বরং তাকে শেখান, ধীর স্বরেও নিজের অমত প্রকাশ করা যায়। মনে রাখবেন, আপনাকে দেখেই কিন্তু সন্তান শিক্ষা নেবেন। তাই প্রথমে নিজের অভিব্যক্তিতে বদল আনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. সন্তানকে আগলে রাখুন।
আপনার ছেলে বা মেয়ে বড় হচ্ছে, তার তো নিজস্ব মতামত তৈরি হবেই। তাই বলে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করবেন না। তাঁকে আগলে রাখুন। ভালোবাসুন। তাহলেই সম্পর্ক সুস্থ থাকবে।