চুলের প্রাণবন্ততা ফিরাবে বাড়ির তৈরি প্রোটিন প্যাক
আমাদের চুল তৈরি হয় কেরাটিন আর অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে। অতিরিক্ত কেমিকাল, দূষণের প্রভাব, গরম বা রোদ্দুরে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে প্রোটিন ভেঙে যায়। তখনই গোড়া থেকে দুর্বল হয়ে যায় চুল, হারায় উজ্জ্বলতা, ঝরে পড়তে থাকে। মাথায় চিরুনি দিলেই গোছা গোছা চুল পড়তে থাকে।
আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব। খাদ্যতালিকা যেন সুষম হয়, তা দেখতে হবে। খুব বেশি বিলাসিতার দরকার নেই। রোজ ডাল খান, মাঝে মাঝে দই বা ছানা, অথবা একটা ডিম, সবুজ শাক-সবজি। ফল, বাদাম আর মাছ খেতে পারলেও খুব ভালো থাকবে আপনার চুল। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি খেতে ভুলে গেলো চলবে না। অনেক সময়েই স্রেফ আর্দ্রতার অভাবেও চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং ভাঙতে আরম্ভ করে।
এছাড়া ঝলমলে একঢাল চুলের জন্য ব্যবহার করুন ঘরোয়া প্রোটিন প্যাক। হাতের কাছে যে সব সামগ্রী সারা বছর থাকে, তা দিয়েই সম্ভব চুলের পরিপূর্ণ যত্ন।
ডিম প্রোটিনে ভরপুর এবং আপনার চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় তার গুরুত্ব অপরিসীম। ডিমের কুসুম, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল আর মধুর প্যাক তৈরি করে নিন। ডিমের আঁশটে গন্ধ তাড়াতে এ প্যাকে মেশাতে পারেন পছন্দের কোনও এসেনশিয়াল অয়েল। পুরো মাথায় ও স্ক্যাল্পে এ প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টার জন্য। এরপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। খুশকির সমস্যা থাকলে এর মধ্যে লেবুর রসও মেশানো যায়। সপ্তাহে একবার এ প্যকটি লাগাতে পারেন। সময় স্বল্পতা থাকলে ১৫ দিনে একবার লাগালেও চলবে।
যারা ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না, তারা দই দিয়ে এ প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। নারকেলের দুধ হালকা একটু গরম করে নিয়ে পুরো চুলে মাখিয়ে নিন ভালো করে। তারপর গরম জলে ডুবিয়ে নিংড়ে নেয়া তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রেখে দিন আধ ঘণ্টার জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
প্যাক তোলার জন্য বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না চুলে। শাওয়ার ছেড়ে তার নিচে দাড়ান। চুল থেকে প্যাক পরিষ্কার হয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। আলতো হাতে চুল মুছবেন। নিয়মিত প্রোটিন প্যাক ব্যবহারের ফলে চুলের রুক্ষতাও ক্রমশ কমতে আরম্ভ করে।
অনন্যা চৈতী