হিন্দি সিরিয়ালের প্রযোজকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ নায়িকার
হিন্দি সিরিয়াল করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ বাঙালি অভিনেত্রী কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের। দিনের পর দিন তাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। পাঁচ মাসের পারিশ্রমিকও দেয়া হয়নি। এমনই অভিযোগ নায়িকার। অভিযুক্তের নাম কুন্দন সিং। কৃষ্ণা অভিনীত ‘শুভ শগুন’ সিরিয়ালের প্রযোজক ছিলেন তিনি।
২০২২ সালের মে মাসে ‘দঙ্গল’ টিভির ‘শুভ শগুন’ সিরিয়ালটির সম্প্রচার শুরু হয়। সে বছরের অক্টোবর মাসেই সিরিয়ালটি শেষ হয়ে যায়। সিরিয়ালের সেটে হেনস্তার অভিযোগটি কৃষ্ণা সোশাল মিডিয়ায় জানান তিনি।
ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী লেখেন, “আমার এর আগে কখনও মনের এই কথা বলার সাহস হয়নি, কিন্তু আজ আমি আর পারছি না। আমি অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আর গেলো দেড় বছর মোটেও সহজ ছিল না। আমি মানসিক অবসাদে ভুগছিলাম, একা থাকলে অ্যংজাইটি হতো, জোরে জোরে কাঁদতাম।”
অভিনেত্রীর দাবি, এ সব শুরু হয়েছিল দঙ্গল টিভির ‘শুভ শগুন’ সিরিয়ালের শুটিংয়ের সময় থেকে। সেটা তার জীবনে সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। লোকজনের কথা শুনেই সিরিয়ালের চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন বলে জানান কৃষ্ণা। অভিনেত্রীর অভিযোগ, প্রোডাকশন হাউস ও প্রযোজক কুন্দন সিং একাধিকবার তাকে হেনস্তা করেছেন।
কৃষ্ণার কথায়, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম বলে আমায় মেকআপ রুমে আটকে দিয়েছিল। আমি শুটিং করতে চাইনি কারণ ওরা আমার পারিশ্রমিক দিচ্ছিল না, আমি তো অসুস্থও ছিলাম। আমি যখন ড্রেস চেঞ্জ করছিলাম আমার মেকআপ রুমের দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছিল যেন ভেঙেই ফেলবে। আমার পাঁচ মাসের পারিশ্রমিক দেয়নি। আর তা সত্যিই অনেকগুলো টাকা। বারবার দঙ্গল আর প্রযোজনা সংস্থার অফিসে গিয়েছি, পাত্তাই দেয়া হয়নি। আমাকে তো হুমকিও দেয়া হয়েছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম, ভেঙে পড়েছিলাম। অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েছি, পাইনি। অনেকে আমায় প্রশ্ন করেন, কেন কোনও শো করছি না। এই হচ্ছে কারণ। আমি খুব ভয় পাই আবার যদি এরকম হয়? আমার বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেষবার ‘হসরতে’ সিরিয়ালে দেখা গিয়েছিল কৃষ্ণাকে। ২০২৩ সালে নেভি অফিসার চিরাগ বাটলিওয়ালাকে বিয়ে করেন তিনি। কৃষ্ণার এই অভিযোগ মিথ্যে বলেই দাবি করেছেন অভিযুক্ত প্রযোজক কুন্দন সিং।