মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ
ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার(২মে) রাতে মুক্তি পাননি। ওই রাতেই তার মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মামলার কাগজপত্র যাচাই করা সম্ভব না হওয়ায় মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামুনুল হক কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন যাবত বন্দী হিসেবে আছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে এসব মামলার মধ্যে ৩৬ টিতে আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে।’
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা আরও বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা থাকায় সব মামলার জামিনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। আজকে রাত হয়ে যাওয়ায়, ঢাকা থেকে এসব মামলার কাগজপত্র যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই তার আজকে(বৃহস্পতিবার) মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
মামুনুল হক কখন মুক্তি পেতে পারেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার(৩ মে) সরকারি ছুটি। সকালে জামিনের কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হবে। সেখান থেকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হলে পরে তিনি যেকোনো সময় মুক্তি পেতে পারেন। তবে তিনি কখন মুক্তি পাচ্ছেন, সেটি কালকের আগে বলা যাচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।পরবর্তীতে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের ১২ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া ওই নারী। তবে মামুনুল হক ধর্ষনের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি তরেন। ধর্ষণ মামলার পরই ই দেশের বিভিন্ন স্থানে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ কয়েক ডজন মামলা দায়ের হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।
এমআর