'৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবে'
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মানে নিয়োজিত জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে হয় অ্যাট লিস্ট ৬ মাস তো লাগবেই। বললেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সাথে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন বিমানমন্ত্রী।
ফারুক খান বলেন, কোভিড-১৯,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- এসব কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে সব প্রজেক্ট কিছুটা স্লো হয়েছে। থার্ড টার্মিনাল প্রজেক্টকেও এজন্য কিছুটা স্লো হতে হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
থার্ড টার্মিনাল পরিচালনায় দক্ষ দেশীয় জনবল তৈরির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অলরেডি রিক্রুটমেন্ট চলছে। এক এক ব্যাচ করে ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে। এমন নয় যে হঠাৎ করে দেখা যাবে কেউ নেই। ট্রেনিংয়ের কাজও চলছে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা দেশের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, বাংলাদেশের বোয়িং আছে। সরকার এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়। এয়ারবাস এরইমধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিলো। কিন্তু সরকার তাঁদের জানিয়েছে এখনোই এটি সই করবে না।
বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য কোন কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এয়ারবাস বলতে কেবল ফ্রান্সই না। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স এই তিন দেশ মিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব সরকার পেয়েছে। এরই মধ্যে বোয়িংও ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে; সেগুলো বিবেচনা করা হবে।
আই/এ